আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।‘১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে রাখার জন্য সাব-জেল ঘোষণা করা হয়েছে’-এ প্রসঙ্গে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত জানি না আদৌ কোনো সাব-জেল ঘোষণা করা হয়েছে কিনা। কোনো ডকুমেন্ট আমার হাতে নেই। যদি সরকার কোনো নির্দিষ্ট জায়গাকে সাব-জেল ঘোষণা করে, সরকারের সেই ক্ষমতা আছে কোন জায়টাকে জেল ঘোষণা করবে। এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত। সুতরাং এটা আমাদের কনসার্ন হওয়ার কোনো বিষয় না।
আমাদের যেটা বক্তব্য, সেটা হলো-যখন কোনো আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন এটা তামিল করবে, কাউকে গ্রেপ্তার করবে তখন সরাসরি কাউকে জেলে নেয়ার কোনো বিধান নেই।’তিনি বলেন, ‘আইন হলো-আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে আনতে হবে। আদালতে আনার পর, আদালত ফারদার অর্ডার দিয়ে যদি বলে তাকে কারাগারে পাঠাতে হবে, তখন কারাগার বলতে- সেটা কেন্দ্রীয় কারাগার হতে পারে, সেটা জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতর হতে পারে, এমপি হোস্টেল হতে পারে বা অন্য কোনো জায়গাকেও যদি সরকার কারাগার ঘোষণা করে সেখানে পাঠানো যেতে পারে। সেটা জেল বা কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। কিন্তু কোন জায়গায় করা করা হচ্ছে এটা প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার বিবেচ্য বিষয় না। আমাদের বিবেচ্য বিষয় হলো আইন অনুযায়ী কাজটি করতে হবে। আসামিকে গ্রেপ্তার করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে আনতে হবে।’
Leave a Reply