দ্বিতীয় মেয়াদে প্রথমবার চীর সফরের ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। আগামী বছরের প্রথম দিকেই বেইজিং সফরে যাবেন তিনি। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনিও তা গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, চীন আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমি আগামী বছরের শুরুর দিকে চীন সফর করার পরিকল্পনা করছি। এই সফর প্রায় নিশ্চিত। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেখানে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও গত সপ্তাহে চীন তার বিরল খনিজ রপ্তানি সীমিত করার পর ফের বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এতে ট্রাম্প চীনের ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
তবে সোমবার ট্রাম্প চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বৈরি অবস্থা পেছনে ফেলে দুই দেশের সমৃদ্ধিতিতে একে অপরকে সহায়তা করার প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করেন। তিনি চীনকে মার্কিন সয়া বীজ কেনার আহ্বান জানান। যা বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চীনের বাজারে এই বীজ রপ্তানি করে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছে। ট্রাম্প বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। আমি বিশ্বাস করি চীন আমাদের সয়া বীজ কিনবে, আর এটা মার্কিন কৃষকদের জন্য একটি আশার আলো হতে পারে।এছাড়া ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে খুব ভালোভাবে চলতে পারব। চীন জানে তারা আমাদের শক্তিশালী সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবে না। তাইওয়ান নিয়ে চীনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ বিষয়েও কথা বলেন ট্রাম্প।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, চীন তাইওয়ানকে দখল করে নেবে। তবে সম্প্রতি সে সুর পাল্টেছে। ট্রাম্প মনে করেন চীন এখনই সে কাজ করবে না। চীন দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে তার অঙ্গীভূত অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। ১৯৪৯ সালে এক গৃহযুদ্ধের পর স্বাধীন হয় তাইওয়ান। যদিও চীন তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় না। চীনের সামরিক বাহিনী নিয়মিতভাবে তাইওয়ানের আকাশ ও সাগরে যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠায় এবং গত কয়েক বছরে এই অঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো, তাইওয়ানকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও তারা তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সমর্থক এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করে।
Leave a Reply