ফেনীর সোনাগাজীতে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে মো.মোমিনুল হক (৪৫) নামে এক বিএনপি কর্মীর পরিবারের ওপর নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ২৩ আগস্ট রাত সাড়ে আটটার দিকে মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জব্বর সওদাগর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশের জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মোমিনুল হক বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৮-১০জনকে আসামি করে সোনাগাজী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পুলিশ জানায়, মোমিনুল হক বিএনপির একজন নির্যাতিত কর্মী। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে একই বাড়ির তারেকুল ইসলাম গংদের অত্যাচারে বহু মামলার আসামিও হয়েছেন তিনি। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর তারেক গং বোল পাল্টিয়ে নিজেদেরকে কথিত সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে নতুন করে মোমিনের ওপর অত্যাচার চালাতে থাকে। সম্প্রতি সেই পূর্ব বিরোধের জেরে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারেক গং। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ঘটনার দিন তারেকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, ওমর শরীফ শাকিব, কেফায়েত উল্যাহ, ও আবিদ সহ ১৫-২০জন দুর্বৃত্ত মোমিনের বশতঘরে গিয়ে প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তার ওপর হামলা করে।
এসময় মোমিমনুল হক, তার স্ত্রী নওয়াবজান লাভলী, তার কন্যা স্কুল ছাত্রী সানজিদা হক, ফাহমিদা হক ফারজানা হক,, ছেলে মাহিনুল হক ও মহিনুল হক কে পিটিয়ে হাড় ভাঙা জখম করে। এসময় দুর্বৃত্তরা সাথে থাকা হ্যাণ্ডকাফ বের করে মোমিন সহ তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতারের ভয় দেখান। মোমিনের এক নিকটাত্মীয় গোপনে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। এসময় সন্ত্রাসীরা দুটি স্বর্নের চেইন নিয়ে যায় এবং তার স্ত্রী কন্যাদের শ্লীলতাহানি করে। জীবন বাঁচাতে মোমিনুল হক বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Leave a Reply